মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং-এ কেন পড়বেন:
একটি দেশ উন্নয়নের ক্ষেত্রে যে বিষয়টি জড়িত থাকে তা হল দক্ষ প্রকৌশলী তথা কারিগরি শিক্ষা, তাই এই শিক্ষার অন্যতম শিকড় হল মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং যাকে বলা হয় প্রকৌশলীদের মা। এই পৃথিবীতে যে দেশ যত উন্নত সেই দেশ ততই কারিগরি শিক্ষায় সমৃদ্ধ।
বাংলাদেশ বর্তমানে একটি উন্নয়নশীল দেশ তাই এখানে প্রয়োজনীয় শিল্প ব্যবস্থা প্রতিনিয়ত গড়ে উঠছে। এই শিল্পকে পরিচলনা করার জন্য একজন মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারের প্রয়োজনীয়তা অতীব জরুরী। তাই বলা হয় যেখানে মেশিন সেখানে মানুষ তথা মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার।
একজন দক্ষ মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার নিজেই তার কর্মসংস্থান তৈরী করতে পারে এবং সমাজের বিভিন্ন সুবিধা বঞ্চিত মানুষকে কর্মসংস্থানের সহযোগীতা করে থাকে।
NIET -এর মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং এর বিভিন্ন শিক্ষার্থীরা চাকরীর বিভিন্ন শাখায় সুপ্রতিষ্ঠিত হতে সক্ষম হয়েছে এবং বর্তমানে তারা স্বাবলম্বী।
NIET -তে মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং এ কেন পড়বেনঃ-
NIET প্রতিষ্ঠানটি দক্ষ শিক্ষক/প্রকৌশলীবৃন্দ দ্বারা পরিচালনা করে থাকেন যাহারা বিভিন্ন সরকারী প্রকৌশলী বিশ^বিদ্যালয় থেকে B.Sc Engineering ডিগ্রি লাভ করে।
প্রতিটি ক্লাশ শীততাপ নিয়ন্ত্রিত ও প্রজেক্টর এর মাধ্যামে বিভিন্ন কারিগরি পাঠদান গুলো আলোচনা করা হয়।
প্রতিটি সেমিস্টারে থিওরির পাশাপাশি বাস্তবিক জ্ঞান দেয়ার জন্য ল্যাব বা ওয়াকর্শফে প্রশিক্ষন দেওয়া হয়।
World bank থেকে বৃত্তি প্রদান এবং প্রতি সেমিস্টারে CGPA 3.80 এর উপরে থাকলে তাহাকে বিনা মূল্য অধ্যায়নের সুযোগ করিয়ে দেয়া হয়।
উক্ত প্রতিষ্ঠান থেকে পাশ করে উচ্চ শিক্ষার জন্য বিভিন্ন সহকারি/বেসরকারি বিশ^বিদ্যালয়ে অধ্যায়ন করার সুযোগ রয়েছে। বিশেষ করে সোনারগাঁও বিশ^বিদ্যালয়ে কম খরচে পড়ার সুযোগ রয়েছে।
এছাড়াও, এখানকার শিক্ষরা শিক্ষার্থীদের পড়াশোনা কালিন তাহাদের বিভিন্ন খোঁজ খবর অভিভাবকদের সাথে মত বিনিময় করে থাকে।
উক্ত প্রতিষ্ঠানে পড়াশুনা কালিন ছাত্রদের বাস্তব জ্ঞান সম্পকে সম্পূর্ণ ধরনা রাখার জন্য বিভিন্ন শিল্প প্রতিষ্ঠানে পাঠানো হয়।
সর্বোপরী কোর্স শেষে চাকরির ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠান কর্তৃক হয়ে থাকে।
NIET -এর সাফল্য গাথা:
বাংলাদেশের বেসরকারি পলিটেকনিকের মধ্যে একটি স্বনামধন্য প্রতিষ্ঠান হল ঘওঊঞ, যাহা শিক্ষার মানে সবর্দা অনড় থাকে।
আন্ত কলেজ প্রতিযোগীতায় ২য় স্থানে অধিকারী।
উক্ত প্রতিষ্ঠানের বিভিন্ন ছাত্র-ছাত্রীরা বাংলাদেশের একমাত্র ডিপ্লোমা প্রকৌশলীদের উচ্চ শিক্ষার স্থান উটঊঞ এ অধ্যায়নরত আছে।
২০১৭, ২০১৮ সালে STEP প্রতিযোগীতায় প্রথম স্থান অধিকারী।
দেশে বিভিন্ন সরকারী/বেসরকারী প্রতিষ্ঠানে সুনামের সহিত চকরিরত অবস্থায় আছেন।
এই ছাড়াও মধ্যপ্রাচ্যসহ ফ্রান্স, জার্মানী, ইতালী ও চীনসহ বিভিন্ন জায়গায় চাকরিরত অবস্থায় সাফল্যের সাথে এগিয়ে আছেন।
একজন মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার এর প্রয়োগ ক্ষেত্রঃ
উৎপাদনমুখী শিল্প প্রতিষ্ঠান
মেশিন ডিজাইন
মেশিন মেইনটেন্যান্স
অটোমোবাইল শিল্প প্রতিষ্ঠান
বিদ্যুৎ সেক্টর
পানি সেক্টর
রোবোটিক্স এন্ড অটোমেশিন
ইন্ডাসট্রিয়াল ম্যানেজমেন্ট
ঔষধ শিল্প
মেরিন শিপ ইয়ার্ড
পাঠ্য বিষয়ঃ
মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং ম্যাটেরিয়াল
মেশিন ডিজাইন
মেকানিক্যাল ড্রইয়ি
মেকানিক্যাল ইস্টিমেটিং
ইঞ্জিনিয়ারিং মেকানিক্স
অটো কেড ২ডি ৩ডি
ইঞ্জিনিয়ারিং থার্মোডাইনামিক্স
ফাউন্ড্রি এন্ড প্যার্টন মেকিং
হাইড্রোলিক্স এন্ড ফ্লুইড মেকানিক্স
এনভায়রন মেনেজমেন্ট
মেকাট্রনিক্স ও পিএলসি
মেকানিক্যাল ওয়ার্কশফ প্যাকটিস
স্ট্রেংথ অব মেটেরিয়াল
কর্মক্ষেত্র ও পদমর্যাদাঃ
মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং পাশ করার পর সেই একজন উপ-প্রকৌশলী দায়িত্ব পালন করে।
সহকারী ক্ষেত্রগুলো
শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তর
গনপুর্ত অধিদ্বাদপ্তর
বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড
পানি উন্নয়ন বোর্ড
দূযোর্গ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তর
জুনিয়র ইন্সট্রাকটর
রিয়েল এস্টেট কোম্পানি
সড়ক ও জনপথ বিভাগ
বাংলাদেশ রেলওয়ে
ঢাকা পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি
বেসরকারী ক্ষেত্রগুলো
বি.এস.আর.এম
পারটেক্স গ্রুপ
বি.আর.বি ক্যাবল
মেরিন শীপ ইয়ার্ড
নোমান গ্রুপ
আকিজ গ্রুপ
ইউনিলিভার
সামিট পাওয়ার প্লান্ট
“এই পৃথিবীর অধিক জনসংখ্যার খাদ্য নিবারন তথা মৌলিক চাহিদা গুলো পূরন করা কঠিন ও কষ্টসাধ্য বিষয়, যেটি একজন মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ ভাবে অবদান রাখে। তাই একজন মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার কে বলা হয় উৎপাদনের শাস। এই বাংলাদেশ সহ পৃথিবীকে আরোও অধিকতর উন্নত করতে হলে একজন মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারের গুরুত্ব অপরিসীম। তাই এই মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং -এ পড়ার প্রয়োজনীয়তা অপরিসীম।